এ প্রতিষ্ঠানে সহ-শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে।
১৯৬৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের যৌথ উদ্যোগে এবং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জনাব আবুল হায়াত চৌধুরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নামে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা থেকে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে এলাকার কৃতি সন্তান জনাব ইসকান্দার আহমদ চৌধুরীর একান্ত সহযোগিতায় জাপানী রোটারিয়ানদের সহায়তা লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৬ সালের জুন সংখ্যা মাসিক রোটারী নো তোমো পত্রিকায় “অন্ধকারে আলোদিন” শিরোনামে জাপানী ভাষায় তিনি বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া একটি গ্রামে একটি আধুনিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে জাপানী রোটারিয়ানদের উদ্দেশ্যে আকুল আবেদন জানাতে থাকেন। তিনি প্রথমে বেতাগীর অন্যতম কৃতি সন্তান প্রকৌশলী জনাব কামাল উদ্দীন আহমদ চৌধুরীর তৈরী নকশা ও প্রাক্কালনের ভিত্তিতে ১৯৮৬ সালের আগস্ট মাসে বেতাগী শুভেচ্ছা বিদ্যালয় প্রকল্প নামে জাপানি ভাষায় একটি তথ্য পুস্তিকা প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে বিশিষ্ট জাপানী রোটারিয়ানদের একান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জিলা ২৭৭০ থেকে এক শক্তিশালী প্রতিনিধি দল ডাঃ হিরোমু আকিয়্যামার নেতৃত্বে সর্বপ্রথম বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সফর করেন এবং বিদ্যালয়টির বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সম্যকভাবে অবহিত হন। তখন থেকেই তারা সহযোগিতা অব্যাহত রেখে চলেছেন এবং তখন থেকেই বিদ্যালয়ের নামকরণ হয় রোটারী বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।[
ছবি | নাম | মোবাইল নং | ই-মেইল |
---|
500+
বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য জনাব মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি করে ১২ জন বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পরিষদ রয়েছে।
২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৭৭.০১%। ১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জন করেছে।[
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ের ভিতর জাপানী রোটারিয়ানদের কাছ থেকে প্রকল্প নির্মাণের জন্য বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ পরিমাণ আর্থিক সাহায্যে সুপরিকল্পিতভাবে পর্যায়ক্রমে ১১০/৩১ মাপের সাকুরা ও চম্পা নামের দুটি দ্বিতল পাকা ভবন এবং ১৫৬/৬৬ মাপের নীহারিকা নামের একটি সুন্দর সুদৃশ্য মিলনায়তন (auditorium) নির্মিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের চম্পাতলীতে অবস্থিত।[
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস