আমাদের জানামতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট ইউনিয়নের কোনো মানচিত্র নেই।আছে কেবল দেশ, বিভাগ, জিলা, ও থানার মানচিত্র এবং মৌজার সীট। বেতাগী ইউনিয়নের ১৬টি সীট রয়েছে। সেই ১৬টি সীটের কপি যোগাড় করে ক্ষুদ্র স্কেলের প্রতিলিপি নিয়ে একটির সঙ্গে আরেকটি জোড়া দিয়ে আমি (মরহুর ইসকান্দর আহমদ চৌধুরী)সমগ্র ইউনিয়নের একটি মানচিত্র তৈরি করে ছাপিয়েছি। এ হয়তোবা বাংলাদেশের একমাত্র ইউনিয়ন মানচিত্র। বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত এবং স্থানটি দেখতে কেমন তা জাপানী রোটারীয়ানদেরকে দেখাবার প্রয়োজনে এই মানিচিত্র তৈরি করা হয়। তাছাড়া বিদেশে থেকে নিজের জন্মভূমির ভৌগলিক রুপটি কেমন তা দেখবার ইচ্ছাও জাগে বৈকি।
যে সমস্ত সীট থেকে কপি নিয়ে মানচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে সেগুলো বিশ শতকের গোড়ার দিকে নেওয়া জরিপের ভিত্তিতে অঙ্কিত। সে কারণে সীটগুলোতে এমন কিছু নৈসর্গিক চিহ্ন দেখানো হয়েছে যার অস্তিত্ব বর্তমান নেই। যেমন, কয়েকটি খাল ও ছড়ার চিহ্ন মানচিত্রে থাকলেও বাস্তবক্ষেত্রে সে গুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোনো্ কোনো খালের অংশবিশেষ ভরাট করে জমি তৈরি করা হয়েছে। মানচিত্রে কর্ণফূলী নদীতে পতিত খাল গুলো এবং বিভিন্ন ছড়ার অবস্থান থেকে বুঝা যায় এককালে সেগুলো জলপূর্ণ ছিল। বেতাগী ইউনিয়ন আরো সরস, আরো স্নিগ্ধ, আরো সবুজ ছিলো। সর্বত্র আরো্ বনবাদার, ঝোপঝাড় ছিলো। বনে ছিলো হরিণ, বনমোরগ, খরগোশ প্রভৃতি প্রাণী ও পাখী। মাঝে মাঝে বাঘ আসতো বলেও শোনা যেত।(সংগৃহীত)
……… “শ্যামল মাটির ধরাতলে” (মরহুম মোহাম্মদ আবুল হায়াত চৌধুরী/মরহুম ইসকান্দর আহমদ চৌধুরী)
…………………..মোহাম্মদ মামুন উদ্দীন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস